স্বদেশ ডেস্ক:
বরিশালের হিজলায় এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পরে মুখে মলমূত্র ঢেলে খাওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্তদের ধরতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৎপর হয়েছে পুলিশ ।
দুপুর ১টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মাতুব্বরের ছেলে স্থানীয় ছয় নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুর রশিদ এবং একই এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন।
এদিকে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপন করেছেন ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মাহাবুব সিকদার। হরিনাথপুর লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মাহবুব সিকদার স্থানীয় আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে।
তাকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলার হরিনাথপুরে শাওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারেক আহসান রাসেল।
এদিকে হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার যুবককেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহের মঙ্গলবার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালতলা জামে মসজিদ রোড নামক স্থানে টুমচরের বাসিন্দা ও তেল ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বেপারীর ছেলে আজম বেপারীকে (২৫) হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের পরে মুখে মলমূত্র ঢেলে দেয় স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী যুবক।
গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। এতেই নড়েচড়ে বসে বরিশাল ও হিজলা পুলিশ প্রশাসন।